মেয়র ফজলে নূর তাপস সেজে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন মো. জাকারিয়া ও মো. একরামুল হক ওরফে রাজু। তাদের কাছ থেকে ফেসবুক ডিভাইস, একটি স্মার্টফোন ও টাকা লেনদেন করার কাজে ব্যবহৃত একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বরের সিম উদ্ধার করা হয়।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘গত ১০ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিক অভিযানে রংপুর ও গাজীপুর জেলা থেকে জাকারিয়া ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণার অভিযোগে মেয়রের এপিএস মনিরুল ইসলাম ১ জানুয়ারি শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম এ মামলা তদন্ত শুরু করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে নিজেকে মেয়র পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা দাবি করে আসামিরা। সেই টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণও করেন তাঁরা।’
‘গ্রেপ্তারকালে জব্দকৃত মোবাইল ফোনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি Shekh Fazle Noor Taposh লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়।’ যোগ করেন ডিবির এই কর্মকর্তা।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা উচ্চশিক্ষিত না হলেও প্রতারণার কাজে খুব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। এদের মধ্যে একজন এইচএসসি পাস ও আরেকজন ক্লাস নাইন পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া জাকারিয়া মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে ভুয়া আইডি খুলে নিজেকে মেয়র পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। এরপর তাঁদের ওই প্রলোভনের ফাঁদে পা দিলে তাঁদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। টাকা সংগ্রহের জন্য কাজ করতেন একরামুল হক রাজু। একরামুল তাঁর নামে রেজিস্ট্রেশন করা বিকাশ নম্বর ব্যবহার করতেন এ কাজে।’