মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে মা গ্রেপ্তার
গাজীপুরে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের মা হেলেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত স্কুলছাত্রীর নাম উম্মে হুমায়রা বিজলী (১৭)। সে বরিশালের মুলাদী থানার বাহাদুরপুর এলাকার মো. বজলুর রহমানের মেয়ে। বিজলী গাজীপুর পুলিশ লাইনস স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জিএমপির বাসন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান, গাজীপুরের চান্দনা গ্রামের বুড়িরমোড় এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকেন বজলুর রহমান। তিনি নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে গত ২১ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজলীকে শাসন করেন তার মা মোসা. হেলেনা বেগম। এর এক পর্যায়ে মেয়ে বিজলীর গায়ে কোরোসিন ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। বিজলীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভান। আগুনে বিজলীর শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ দিন পর গতকাল বুধবার দুপুরে বিজলী মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রীর মা হেলেনার বিরুদ্ধে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী বজলুর রহমান বাদী হয়ে আজ থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত মোসা. হেলেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে।