মেহেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হুদাপাড়া গ্রামে সাবিনা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী বিদ্যুত হোসেন। দাম্পত্য কলহের জের ধরে আজ বুধবার ভোরে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যুত হোসেন হুদাপাড়া গ্রামের দিনমজুর ওলি আহম্মেদের ছেলে।
আজ বুধবার সকালে বিদ্যুতের বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে স্ত্রী সাবিনার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের ধারণা ছিল স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর স্বামী পালিয়ে গেছে। কিন্তু দুপুরে বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে একটি গাছে বিদ্যুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর ধারণা পাল্টে যায়। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
স্থানীয় ও সাবিনার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে কুমারীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাবিনা খাতুনের সাথে কুঞ্জনগর হুদাপাড়া গ্রামের দিনমজুর বিদ্যুত হোসেনের বিয়ে হয়। এটি সাবিনার দ্বিতীয় আর বিদ্যুতের তৃতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে সাবিনা বিদ্যুতের মাঝে কলহ চলছিল। এর জের ধরে আজ বুধবার ভোরে দুজনের মাঝে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করে বিদ্যুত। মাথায় আঘাতের ফলে সাবিনা মারা যায়। পরে বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে একটি গাছের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে বিদ্যুত।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সকালে সাবিনার মরদেহ উদ্ধারের পর বিদ্যুতের সন্ধান করছিল পুলিশ। দুপুরে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।