স্বর্ণের বাজার বাড়া-কমার মধ্যে থাকে। কখনও বাড়ে, আবার কখনও কমে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল রোববার থেকে প্রতি ভরিতে দুই হাজার ৪১ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এ নিয়ে চলতি মাসেই দুদফায় স্বর্ণের দাম বাড়ল।

আজ শনিবার বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফলে চলতি মে মাসের মধ্যেই দুই দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ১০ মে ভরিতে স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়ানো হয়। সুতরাং এ মাসেই ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে চার হাজার ৩৭৪ টাকা।

কেন আবার স্বর্ণের বাড়ানো হয়েছে তা জানাতে বাজুস সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানান জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক জটিলতা (উপকরণ কর রেয়াত) ও নানান ধরনের দাপ্তরিক জটিলতার কারণে গোল্ড ডিলাররা স্বর্ণবার আমদানি করতে পারছেন না। তাছাড়া চাহিদার বিপরীতে যোগান কম থাকায় দেশীয় বুলিয়ান/পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস বলছে, রোববার থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৪১ টাকা বাড়িয়ে ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৩৩৩, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬১ হাজার ৫৮৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হবে।

স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার পূর্বনির্ধারিত দাম বহাল রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে আজ শনিবার সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৭১ হাজার ৪৪২ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৮ হাজার ২৯২, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৯ হাজার ৫৪৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৪৯ হাজার ২১ টাকা বিক্রি হয়েছে।