মোংলায় আরও ৩০ জনের করোনা শনাক্ত
মোংলায় বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ ও শনাক্তের হার। আজ মঙ্গলবার ৪৯ জনের মধ্যে ৩০ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আর শনাক্তের হার প্রায় ৬১ ভাগ।
এর আগে গতকাল সোমবার এর হার ছিল ৫৪ ভাগ এবং রোববার ছিল ৫৩ ভাগ।
আজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৯ জন করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন। তাদের মধ্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে, হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়ায় গত ৩০ মে থেকে পৌর এলাকা জুড়ে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। ৩০ মে থেকে ৮ জুন পর্যন্ত এখানে করোনা পরীক্ষা করিয়েছে ২৩৫ জন। এরমধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৪১ জন।
বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বর্তমানে মোংলায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা প্রায় ৬১ ভাগ। আগের তুলনায় শনাক্তের হার কমেছে, কারণ এর আগে ৭১ ভাগ পর্যন্তও শনাক্তের হার ছিল। আশা করছি চলতি এ সপ্তাহের মধ্যে শনাক্তের হার আরও কমে আসবে। মূলত চলতি সপ্তাহ গেলে বুঝা যাবে এখানকার প্রকৃত অবস্থা, কমছে নাকি বাড়ছেই। না কমলেও তার কারণ কী হতে পারে সেটি আমরা খুঁজে বের করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ১০ম দিনেও পৌর শহরের প্রবেশমুখে লোকসমাগম ও যান চলাচল ঠেকাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। পৌর শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও আনসারের টহল থাকায় শহর এলাকায় বিধিনিষেধ কিছু মানা হলেও মূলত তা মানা হচ্ছে না উপজেলার বাকি ছয়টি ইউনিয়নে। সেখানে বিধিনিষেধের তেমন কোনো বালাই নেই। পৌর শহরের প্রবেশমুখ কলেজ রোড, কুমারখালী ও কাইনমারী এলাকা দিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন ও গাড়ি অবাধে চলাচল করছে।
চলমান বিধিনিষেধ না মানায় এ কয়েক দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪৯টি মামলায় ৫৫ জনকে ৩২ হাজার ১০০ টাকা নগদ জরিমানা করা হয়েছে।
বিধিনিষেধের মধ্যেও স্বাভাবিক রয়েছে মোংলা বন্দরের সব কার্যক্রম। আজ বন্দরে থাকা নয়টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ চলেছে। বন্দরের পাশাপাশি বন্দর সংশ্লিষ্ট কাস্টমসসহ অন্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে।