মোংলায় করোনা উপসর্গে একজনের মৃত্যু, আরও এক সপ্তাহের কঠোরতর বিধিনিষেধ
মোংলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আরও এ সপ্তাহের জন্য কঠোরতর বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরও ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ উপজেলায় আজ করোনা শনাক্তের হার ছিল প্রায় ৬৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার এ হার ছিল ৬১ শতাংশ।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে আগামী বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে এ কঠোরতর বিধিনিষেধ জারি করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান আজ দুপুরে জানান, মোংলার করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বসে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় যেমন ওষুধ, কাঁচাবাজার, মুদি, মাছ ও মাংসের দোকান আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এসব পণ্যের দোকানগুলো খোলা মাঠে নেওয়ার পাশাপাশি সেখানে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পৌর শহরের সব দোকানপাট, হোটেল, বেকারি, নদী পারাপার বন্ধ থাকবে। শহরতলির পশুর হাটগুলো বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কঠোরতর এ বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে থাকছে ভ্রাম্যমাণ দল, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ ও শনাক্ত বাড়তে থাকায় প্রথম দফায় গত ৩০ মে থেকে আট দিনের বিধিনিষেধ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আরও এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। দ্বিতীয় সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ চলার মধ্যেই আজ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আরও এক সপ্তাহ কঠোরতর বিধিনিষেধ আরোপ করে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা, পরিবহণ ও অফিশিয়াল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বন্দরের দুই কর্মকর্তাসহ ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বন্দরে চাকরিরত পুরাতন মোংলা এলাকার বাসিন্দাদের কর্মস্থলে না গিয়ে নিজ বাসায় অবস্থান করে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে আজ সকাল ৯টার দিকে ভর্তি হন আম্বিয়া বেগম (৪৫) নামের এক নারী। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য তিনি রেজিস্ট্রেশনও করেন। কিন্তু পরীক্ষার আগেই হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডে সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবব্রত সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি করোনায় মারা গেছেন কিনা, সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এ চিকিৎসক। তাঁর ধারণা যেহেতু উপসর্গ ছিল তাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।