মোংলায় প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে পরাজিত প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম, জালিয়াতি, পক্ষপাতিত্ব ও এক তরফাভাবে ছেঁড়া-কাটা রেজাল্ট শিট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ তুলে প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরাজিত প্রার্থী মো. মালেক ফরাজী। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
পরাজিত প্রার্থী মো. মালেক ফরাজী বলেন, ‘উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি ফজলুর রহমান মল্লিকের মোরগ প্রতীকের সঙ্গে। গত সোমবার ন্যাজরিন মিশন কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট চলাকালে দুপুর ২টার দিকে আমার এজেন্ট মো. মোসারেফ হাওলাদারের কাছ থেকে ভোটের রেজাল্ট শিটে স্বাক্ষর করিয়ে নেন প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ই। এ ছাড়া বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও সাড়ে ৩টায় ভোট নেওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। এরপর ভোট গণনার সময় আমার এজেন্টকে আটকে রাখা হয়। ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভোট নিয়ে আমি আপত্তি জানালে আমার ব্যালট প্রতিপক্ষ ফজলুর রহমান মল্লিকের মোরগ প্রতীকের বান্ডিলের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। রেজাল্ট শিটে কাটাকাটি করে তার প্রাপ্ত ভোট গোপন করে প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ই প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।’
মালেক আরও বলেন, ‘পুনরায় ভোটগ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদারের কাছে আবেদন করলে তিনি আমাকে প্রথমে আশ্বস্ত করলেও পরবর্তী সময়ে আবেদন খারিজ করে দেন।’
ইউএনও কমলেশ মজুমদার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘তার আপত্তি থাকলে তিনি নির্বাচন ট্রাইবুনালে মামলা করতে পারেন।’
মালেক বলেন, ‘চিলা ইউনিয়নের নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সহকারী রিটার্নিং অফিসার জাহিদুল ইসলামের কাছেও ভোট পুনর্গণনার জন্য আবেদন করা হয়। তিনি আবেদন গ্রহণ করেননি।’
এ বিষয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পুনরায় ভোট গণনা করার আমার কোনো এখতিয়ার নেই। প্রয়োজনে তিনি এ নিয়ে মামলা করতে পারেন।’ আর রেজাল্ট শিটে কাটাকাটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এর দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারের।’ প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ই বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম করা হয়নি।’ রেজাল্ট শিটে কাটাকাটির বিষয়ে কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি ফোন রেখে দেন। এরপর বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।