মোংলা বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি মদ জব্দ
মোংলা বন্দর জেটি থেকে এক কন্টেইনার বিদেশি মদ জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বন্দর জেটির দুই নম্বরে ইয়ার্ডে থাকা একটি কন্টেইনার থেকে এ মদ জব্দ করা হয়।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
মোংলা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. মহিবুর রহমান জানান, ঢাকার নিউমার্কেট ঠিকানার ফাহাদ ট্রেডিং নামক একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কুইক লাইম (চুন) আমদানির ঘোষণা দিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে এক কন্টেইনার পণ্য আনে। গত মার্চ মাসে পণ্যসহ কন্টেইনারটি মোংলা বন্দরের জেটিতে আসে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এ পণ্য কাস্টমসে এন্ট্রি করার বিধান রয়েছে। এক মাসের মধ্যে এন্ট্রি করে তা ছাড়িয়ে নেওয়ার নিয়ম থাকলেও দীর্ঘ সাত-আট মাসে তা না করায় ওই কন্টেইনারটি নিলামে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কন্টেইনারের পণ্য নিলাম দেওয়ার জন্য আজ ওই কন্টেইনারটি খুলে মালামালের পরিমাণ ও তালিক করতে গেলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাতে মদ পায়। অথচ ঘোষণা অনুযায়ী তাতে থাকার কথা চুন। ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই কন্টেইনারটিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ রয়েছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চুনের বদলে বিদেশি মদ আমদানি করেছে। এ বিষয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে কী পরিমাণ বিদেশি মদ এবং মূল্য কত? তা জানাতে পারেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কন্টেইনার থেকে মদ বের করে গণনা শেষে পরিমাণ ও দামের বিষয়টি জানাবেন বলে জানিয়েছেন কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. মহিবুর রহমান।
মো. মহিবুর রহমান আরও বলেন, ‘আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শুল্ক আইন এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেটি থেকে মদ জব্দের সময় কাস্টমসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মোংলা-রাপমাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসিফ ইকবাল ও মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।