মোখা মোকাবিলায় ভোলায় প্রস্তুত ৭৪৬ সাইক্লোন শেল্টার
ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি থেকে ভোলা জেলাকে রক্ষায় প্রস্ততিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ প্রস্ততিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ইলাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্ততি সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন সফিকুজ্জামানসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা।
সভায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলা হয়, ৭৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার ও ছয়টি মুজিবকিল্লাহ প্রস্তত রয়েছে আশ্রয় নেওয়ার জন্য। এ ছাড়া ২১টি মেডিকেল টিম এবং প্রায় ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন নানা ধরনের সহযোগিতায়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকেও প্রায় এমনই দূরত্বে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। এজন্য এসব সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গেপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মোনোয়ার হোসেন সকালে সামুদ্রিক সতর্কবাতায় এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল শুক্রবার (১২ মে) সকাল পর্যন্ত উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সামুদ্রিক সতর্কবাতায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সর্বশেষ খবরে সংস্থাটি বলছে, এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে ।
আবহাওয়াবিদ মো. মোনোয়ার হোসেন জানান, মোখা আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।