মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা
রাজশাহীতে বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে রাজপথে দেখা গেছে। যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে ঢুকতে না পেরে অবস্থান করছেন নগরীর ঈদগাহে, বিভিন্ন মাঠে, সড়কে, এমনকি অলিগলিতেও। তারা আজ শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
আজ বিকেলে নওগাঁর মান্দা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজশাহী আসে। বগুড়া থেকে পৌঁছায় আরেকটি বিশাল বহর। তাদেরকে পথে পথে তল্লাশির নামে পুলিশের বাধা ও মাঝপথ থেকে বহরটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিবহণ ধর্মঘট শুরু করেছে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহণ মালিক সমিতি। শুক্রবার ছিল ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ—শনিবার রাজশাহীর গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতেই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এখন নেতাকর্মীদের স্রোত আটকাতে গাড়ি শূন্য মহাসড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে পথে পথে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
যদিও পরিবহণনেতারা ধর্মঘটের বিষয়ে বলছেন, এটি তাদের ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ। এর সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের সম্পর্ক নেই।
বগুড়া জেলা ছাত্রদল-যুবদলের নেতারা অভিযোগ করে জানান, ‘আজ সকাল ১০টায় বগুড়া থেকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তাঁরা রওনা দেন। বগুড়া শহরের চারমাথা সেঞ্চুরি মোটেলের সামনে পুলিশ বহরটিকে আটকায়। প্রথমে থামতে না চাইলে পুলিশ মারমুখী হয়ে কয়েকজন চালককে লাঠিপেটা করে। ভাঙচুর করে ছয়-সাতটি মোটরসাইকেল।
এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের তর্কযুদ্ধ বাধে। শেষে কাগজপত্র তল্লাশির নামে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। জব্দ করা হয় মোটরসাইকেল। বাকি মোটরসাইকেল বগুড়ার চারমাথা অতিক্রম করতে পারলেও পথে পথে পুলিশের তল্লাশিচৌকির মুখে পড়তে হয় নেতাকর্মীদের।
বগুড়া সদর ট্রাফিকের পরিদর্শক (প্রশাসন) মাহবুবর রহমান বলেন, ‘কাউকে হয়রানি উদ্দেশে নয়; নিয়মিত তল্লাশির অংশ হিসেবেই তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। সেখানে কে কোন দল করে, সেটা দেখার বিষয় নয়। যেসব মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি, শুধু সেসব মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। অন্যদের কাগজপত্র তল্লাশি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই বহরের ১৪ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জব্দ করা হয়েছে।’
মোটরসাইকেলবহরে নেতৃত্ব দেওয়া বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘বহরে প্রথমে এক হাজার ৮০০ মোটরসাইকেল যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, চারমাথায় জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ আগে থেকেই বহর আটকে দেওয়ার জন্য অবস্থান নেয়। নেতাকর্মীরাও গ্রামীণ সড়ক দিয়ে বিকল্প পথে খণ্ড খণ্ড বহর নিয়ে রাজশাহী পৌঁছানোর কৌশল নেন।’