‘মোটরসাইকেল’ রাখা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২০ মে) দুপুরের দিকের এই সংঘর্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষটি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হয়েছে বলে জানিয়েছে পাবিপ্রবি প্রক্টর ও জেলা পুলিশ সুপার। তবে, সংঘর্ষে জড়ানো শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু।
প্রত্যদর্শীরা জানান, সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তুপুর ২টার দিকে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এত উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কামাল হোসেন বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মোটরসাইকেলের ধাক্কাধাক্কি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছি। এখন সব কিছু স্বাভাবিক। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ জানান, এই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত না। সাধারণ ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’