মৌলভীবাজারে চাঁপাইনবাবনগঞ্জ ফেরত ১৭ জনের করোনা শনাক্ত
মৌলভীবাজারে চাঁপাইনবাবনগঞ্জ থেকে আসা ৭১ জনের মধ্যে ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ বুধবার রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ রিপোর্ট আসে।
রাতেই পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমানের সহযোগিতায় ১৭ জনকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। আক্রান্তরা সবাই ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তারা গত ঈদুল ফিতরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাড়িতে যান। ঈদ শেষে মৌলভীবাজার ফিরে এলে সন্দেহ হলে শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গত ৩০ মে মৌলভীবাজার শহরের বড়কাপন ও শহরতলীর গুজারাই এলাকায় তাদের বাসা লকডাউন করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। পরদিন সোমবার তাদের বড়কাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে মধ্যে বড়কাপন এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্য থেকে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গুজারাই এলাকায় বসবাসকারী কারো শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
গত ২৯ তারিখে স্বাস্থ্য বিভাগ খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ৩৪ জনের করোনা টেস্ট করালে ১৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও মৌলভীবাজার পৌরসভা ওই ৭১ জনকে খুঁজে বের করে।
এর আগে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের নির্দেশনায় কোয়ারেন্টিনে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৭১ জনকে ১৪ দিনের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা রহমান।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান জানান, আক্রান্তরা সাতটি চায়ের দোকান, রেস্টুরেন্ট ও ফার্নিচারের দোকানে আড্ডা এবং চা-নাস্তা খাওয়ায় ওই সাত দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই দোকানগুলোর মালিক, কর্মচারী মিলে ২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের শরীর থেকে করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ১৭ জনসহ ২৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত জেলায় দুই হাজার ৫৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৩৩৬ জন। সরকারি হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ জন। তবে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুবরণকারী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে বেসরকাররি হিসেবে জেলার বাইরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০ জন।