মৌলভীবাজারে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা জমির ধানকাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পশ্চিম আশিদ্রোন এলাকায় প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ সমলয় পদ্ধতিতে (Synchronization Cultivation) চাষাবাদ করা জমির ধান কাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে সরকারিভাবে ভর্তুকির দেওয়া কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে ব্লক প্রদর্শনী মাঠে ধানকাটার উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক চিপ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।
এ সময় সাবেক চিপ হুইপ বলেন, ‘জিডিপির বড় একটি অংশ কৃষককূল থেকে আসে। যে কারণে বর্তমান সরকার কৃষি খাতে সর্বোচ্চ ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকদের জন্য সরকার তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কৃষকের কষ্টে ফলানো ধানের সঠিক মূল্য দিতে সরকার ধানের মণ এক হাজার ৪০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে এক হাজার ৮০ টাকা করেছে।’
ধান কাটা চলাকালে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক মোবাইল ফোনে সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘এক সময় দেশ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ত। অব্যাহত মানুষ বাড়ায় দেশে প্রায় সময় খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এসব কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দেশের বিজ্ঞানীরা এমন জাতের ধান বীজ আবিষ্কার করেছেন-যা থেকে কৃষকরা বিঘাপ্রতি ২৭ মণ ধান পাচ্ছে। এটা সত্যিই গর্ব করার মতো ঘটনা।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (ডিএই) সামছুদ্দিন আহমদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি, শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, আশিদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন জহরসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।কৃষি বিভাগ জানায়, পশ্চিম আশিদ্রোন এলাকায় স্থানীয় কৃষকরা ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে হাইব্রিড ধান (টিয়া) চাষ করেছে। জমি তৈরি, চারা রোপণ ও কর্তন যান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা হয়। এতে উৎপাদন খরচ অনেকটা কম লেগেছে। এসব জমিতে আট থেকে ১০ মণ ধান উৎপাদন হতো। উন্নত জাতের বীজ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষ হওয়ায় এখন প্রতি বিঘা জমিতে ২৭ মণ করে ধান উৎপাদন হয়েছে। পশ্চিম আশিদ্রোন এলাকার ৪৮ জন কৃষক ৫০ একর জমির জন্য ট্রের মধ্যে বীজ লাগান গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর। পরে চারা রোপণ উপযোগী হলে গত ১৭ জানুয়ারি তা রোপণ করার চার মাসের মধ্যে ধানকাটা শুরু হয়।