ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ভাঙিয়ে অর্থ আত্মসাৎ : জামিন পেলেন সেই আইনজীবী
ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ভাঙিয়ে আসামির কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. জুয়েল মুন্সি সুমন নামের এক আইনজীবীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন।
কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) আশ্রাব আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবীর জামিনের আবেদন করা হলে, বিচারক পাঁচ হাজার টাকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, মো. আবিরুল ইসলাম চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী। সে মামলার পরে গত ২৮ আগস্ট আইনজীবী পরিচয়ে জুয়েল মুন্সি ফোন দেন আবিরুল ইসলাম চৌধুরীকে।
জুয়েল জানান, আবিরুলসহ তার পরিবারের আরও তিনজনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে মামলায় তিনজনকে বাদ দেওয়া যাবে, এজন্য জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। সে কথা অনুযায়ী বনানীর আরগিলা হোটেলে বসে জুয়েল মুন্সিকে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন আবিরুল। মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া সংক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাগজ সরবরাহ করেন জুয়েল। পরে ৩০ আগস্ট মামলার দরখাস্তের খরচ হিসেবে আবিরুলের কাছ থেকে আরও ১৫ হাজার টাকা নেন জুয়েল।
গত ৬ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত থেকে জামিন করানো এবং সিএমএমকে ম্যানেজ করে ২৮ নং আদালত থেকে স্থায়ী জামিনের ব্যবস্থা ও মামলা থেকে খালাস করার প্রলোভন দেখানো হয়। এজন্য আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করা হয়। মামলা নিষ্পত্তির পরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়।
১২ অক্টোবর এ মামলায় সিএমএম ২৮ নং আদালতে অভিযোগ শুনানির দিন ধার্য জন্য ছিল। ওই দিন আবার শুনানির জন্য ২০ হাজার টাকা নেন জুয়েল। আইনজীবী মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে আবিরুলের কাছ থেকে মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। পরে জুয়েলকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করা হয়। ১৩ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রোববার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।