ময়মনসিংহে আঞ্চলিক ইজতেমাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নে চকরাধাকানাই গ্রামে একই দিনে, একই স্থানে ও একই সময়ে দুপক্ষ ইজতেমা আহ্বান করায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ইজতেমাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদুল করিম।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ীয়া-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের চকরাধাকানাই ইজতেমা মোড় সংলগ্ন মাঠে তিন দিনব্যাপী (২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর) আঞ্চলিক ইজতেমা আহ্বান করে স্থানীয় মুখলেছুর রহমান ওরফে মুকুল মাস্টার পক্ষ। পরে একই দিনে, একই স্থানে ও একই সময়ে স্থানীয় মো. নুরুল ইসলাম পক্ষও আঞ্চলিক ইজতেমা আহ্বান করে। এ ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ ডিসেম্বর উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার ডিসেম্বর বিকেলে ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদুল করিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিনা আক্তার ইজতেমাস্থল পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যার পর ইউএনও ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদুল করিম জানান, উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নের চকরাধাকানাই গ্রামে স্থানীয় মুখলেছুর রহমান ওরফে মুকুল মাস্টার গ্রুপ আহলে হাদিস মারকাজের আঞ্চলিক ইজতেমা আহ্বান করে। পরে মো. নুরুল ইসলামের পক্ষ আমির মাওলানা আ. খালেককে নিয়ে নিজেদের আসল আহলে হাদিস মারকাজের পক্ষ দাবি করে একই স্থানে, একই সময়ে ও একই দিনে আঞ্চলিক ইজতেমা আহ্বান করে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই ওই স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মো. নুরুল ইসলাম পক্ষ মাওলানা আ. খালেককে নিয়ে থানায় এসে নিজেদের আসল আহলে হাদিস মারকাজের লোক দাবি করে ইজতেমা করতে না দেওয়ার আবেদন করে। পরে উপজেলা প্রশাসন উভয় পক্ষকে ডাকলেও একপক্ষ না আসায় গতকাল বিকেলে ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদুল করিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিনা আক্তার ইজতেমাস্থল পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যার পর ইউএনও ১৪৪ ধারা জারি করেন।