ফ্যাক্টচেক
ময়মনসিংহে নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজা নিহতের খবরটি ভুয়া
গত বছর নেত্রকোনার মদন উপজেলার উচিতপুরের হাওরে ঘুরতে গিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাডুবিতে ১৮ জন নিহতের ঘটনার খবরের তথ্য ও ছবির সঙ্গে মিল রেখে একটি ভুয়া খবর সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে।
বুধবার রাতে গোল্ডেন বাংলাদেশ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে মিঠুন মাদবর নামের একটি অ্যাকাউন্টের দেওয়া পোস্টে লেখা হয়, ‘ইন্নালিল্লাহ, ময়মনসিংহে ১৭ জন হাফেজা বোন হিফজ শেষ করে নৌকা ভ্রমণে গিলে নৌকা ডুবে সকলেই মৃত্যুবরণ করেছে।’ একই ধরনের পোস্ট করেছেন অনেকেই। দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ময়মনসিংহে কর্মরত এনটিভি’র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আইয়ুব আলী আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজার মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ময়মনসিংহে গতকাল ঘটেনি। তবে, গত বছর ময়মনসিংহের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নেত্রকোনার হাওরে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে পড়েন। এতে ১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।’
২০২০ সালের ৬ আগস্ট নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের কাছে হাওরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ১৮ জন নিহত হন। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের চর ভবানীপুর গ্রামের মাকসুদা সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ ৪৮ জন মদনের উচিতপুরের সামনের হাওর ভ্রমণে যান। তাদের বহনকারী ট্রলার ডুবে গেলে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এনটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ময়মনসিংহে নৌকাডুবিতে ১৭ জন কোরআনের হাফেজা নিহতের দাবি করে গতকাল বুধবার এবং আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্টে দুটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ছবি দুটিও গত বছরের ঘটনার। সংবাদমাধ্যমগুলোতে এসব ছবি প্রকাশিত হয়েছিল।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলোতে বেশ কয়েকটি খাটিয়ায় লাশের ও কবর খোড়ার দুটি ছবি গত বছরের ৬ আগস্ট বাংলা ট্রিবিউনে ‘মদনে নৌকাডুবিতে নিহতদের দাফন সম্পন্ন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়েছিল।
এ ছাড়া দেশের সংবাদমাধ্যমেও গতকাল বুধবার থেকে এ পর্যন্ত ময়মনসিংহে নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজা নিহত হওয়ার কোনো খবর প্রকাশিত হয়নি।