ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার ১৯
ময়মনসিংহে একটি হোটেল থেকে জামায়াতে ইসলামীর ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সরকারবিরোধী নাশকতার গোপন বৈঠক চলাকালে শনিবার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোজাম্মেল হোসেন রয়েছেন। তিনি মুক্তাগাছায় আব্বাসিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। শনিবার দুপুরের দিকে গ্রেপ্তারকৃতরা স্থানীয় একটি হোটেলে সরকার বিরোধী নাশকতার পরিকল্পনায় বৈঠক করছিল বলে জানায় পুলিশ।
এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শাহ কামাল আকন্দ বলেন, আজ রোববার কোন এক সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- ওসমান গনি (৪৫), আজিজুর রহমান (৪৩), ফেরদৌস আলম (৪৪), আল আমিন (৩৭), দেলোয়ার হোসেন কুদ্দুস (৩১), তাজুল ইসলাম (৪৫), মো. আসাদুজ্জামান (৪২), শাহিন খান (২৭), মাহমুদুল হাসান শাহিন (৩৮), মাহাবুবুল হাকিম (৪২), মেহেদী হাসান (৩৬), সারোয়ার হোসেন (৪৫), আলমগীর হোসেন (৪২), মো. নাফিজ (৩১), আবু হানিফ (৩৭), ফজলুল করিম ফারুকী (৫২), শেখ আহমেদ আফিফা (৩৮) ও নুরুল হক (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাঝে মাঝেই ভোরবেলা আকস্মিক জামায়াত-শিবির চরপাড়া এলাকায় ঝটিকা মিছিল ও সমাবেশ করে থাকে। শনিবার সকালেও তারা মিছিল করেছে। পরে দুপুরের দিকে তারা চরপাড়াস্থ সালতানাত রেস্টুরেন্টে এক সভায় মিলিত হয়। তার আগে হোটেলের পাশেই অবস্থিত আলকেমি হাসপাতালের বোর্ড মিটিং করছিলেন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। তবে জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্য রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক কোনো সভা-সমাবেশ না করায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি গ্রেপ্তারদের নিয়ে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিক্রিয়াও প্রকাশ করেনি।
বৈঠকের বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সদস্য জানান, শহরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিত্তবান মানুষ আলকেমি হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। ফার্নিচার ব্যবসায়ী, কোচিং ব্যবসায়ী, শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী, হোটেল ব্যবসায়ীসহ অনেকেই আছেন। তবে সবাই জামায়াত করেন না। প্রতি বোর্ড মিটিংয়ের দিন তিন হাজার টাকা করে সম্মানি দেওয়া হয়। পরিচালনা পর্ষদের ৩৯ জন সদস্য রয়েছেন। শনিবার ২০-২৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ বলছে, শনিবার সকালে চরপাড়া এলাকায় জামায়াতে ইসলামী একটি মিছিল করে। এ বিষয়ে পুলিশের সাথে বাদানুবাদ ঘটে মিছিলকারীদের। পরে হোটেলে বসে তারা সরকারবিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।