যখন যেভাবে পাবেন বুস্টার ডোজ
করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ পেতে এখনি সুরক্ষা অ্যাপের নিবন্ধন করতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। তবে, আগামী ২৮ ডিসেম্বরের পরে এ অ্যাপে নিবন্ধন করা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার টিকার বুস্টার ডোজ পেতে অসুবিধা হবে না মানুষের। তিনি বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে কেউ বুস্টার ডোজ নিতে চাইলে আগের টিকা কার্ডের মাধ্যমে নিতে পারবেন।’
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে বুস্টার ডোজের উদ্বোধন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তবে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ কবে থেকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ পাবেন সে সিদ্ধান্ত হতে আরও দেরি হবে। তার আগে সিলেকটিভ লোকজন এ টিকা পাবেন। তবে, যখন সাধারণ মানুষ বুস্টার ডোজ পাবেন, তখন তারা সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে পাবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজ বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আপাতত টিকার বুস্টার ডোজ কেবল স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা পাবেন। যতদিন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হবে, ততদিন সাধারণ মানুষ পাবেন না। এর মধ্যে সিলেকটিভ লোকজন বুস্টার ডোজ পাবেন। তারা আগের টিকা কার্ডের মাধ্যমেও বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।’
ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘এখন বুস্টার ডোজ পাবেন যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার বয়স নয় মাসের বেশি হয়েছে। নয় মাস আগে কিন্তু অ্যাস্ট্র্যাজেনেকার টিকা দিয়েছেন সবাই। আর এখন বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে ফাইজারের টিকা। ফলে, একই ব্যক্তির শরীরে দুই ধরনের টিকা প্রয়োগ করলে কোনো অসুবিধা দেখা দেয় কি না তা দেখতে হবে। যদিও অন্যান্য দেশের বুস্টার ডোজের পরিসংখ্যান দেখলে ধরে নেওয়া যায়, কোনো সমস্যা হবে না।’
‘আর উন্মুক্ত হয়ে গেলে তখন সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন সবাই। নতুবা, আমরা বুস্টার ডোজ দেওয়ার হিসাব রাখব কীভাবে?’, যোগ করেন রোবেদ আমিন।
বুস্টার ডোজ পেতে আরও অন্তত এক মাস লাগবে সাধারণ মানুষের। এমন ধারণা থেকে ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আইসিটি মন্ত্রণালয়ও সুরক্ষা অ্যাপ নিয়ে কাজ করছে। অ্যাপটিও প্রস্তুত হোক। তখন সবাই বুস্টার ডোজ পাবেন অ্যাপের মাধ্যমে। সব মিলিয়ে অন্তত এক মাস তো লেগে যাবে সব ঠিকঠাক হতে। এর মধ্যে শুধু স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরাই এ বুস্টার ডোজ পাবেন। তারপর পর্যায়ক্রমে বুস্টার ডোজ সবাই পাবেন।’
বুস্টার ডোজের উদ্বোধন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে জাহিদ মালিক বলেন, ‘দেশে আজ থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হল। ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দিতে যা যা প্রস্তুতি দরকার, আমরা নিচ্ছি। তবে আমাদের প্রস্তুতি এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। সুষ্ঠুভাবে এ কার্যক্রম চালাতে আমরা সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করছি।’
জাহিদ মালিক আরও বলেন, ‘আইসিটি মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে, তারা আরেকটু সময় নেবে, অ্যাপ আপডেট করতে। আগামী ২৮ ডিসেম্বরের আগে তারা অ্যাপটা আপডেট করতে পারবে না। তাই অ্যাপের মাধ্যমে বুস্টার ডোজের রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) এখনি করতে পারছি না। কিন্তু বুস্টার ডোজ কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেশ কয়েক ধরনের ভ্যাকসিন আমরা দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল অনুযায়ী এসব দিয়েছি। বুস্টার ডোজও আমরা ডব্লিউএইচওর প্রটোকল অনুযায়ী দেব। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ফাইজারের টিকা দেব। ডব্লিউএইচও বলেছে, যারা অন্যান্য টিকা নিয়েছে তারাও বুস্টার হিসেবে ফাইজারের টিকা নিতে পারবে। আমরা শুনেছি, মডার্নাও বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া যায়। আমাদের স্টকেও মডার্নার টিকা আছে।’