যমজ শিশুর জন্মের পর করোনায় মারা গেলেন পাবিপ্রবি শিক্ষার্থী
যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার কয়েকদিন পরেই করোনায় মারা গেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার ঢাকার একটি ক্লিনিকে ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শারমিন সুলতানা শাম্মি পাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি শহরের পৌর এলাকার কলাবাগান মহল্লার বাসিন্দা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. এম আব্দুল আলীম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শারমিন শাম্মি করোনা পজিটিভ ছিলেন। এক সপ্তাহ আগে তিনি যমজ সন্তানের মা হন। গত ১৩ জুলাই সকালে আট মাসের গর্ভবতী অবস্থায় করোনার উপসর্গ নিয়ে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তির জন্য যান। শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ খুঁজে না পেয়ে তাঁকে রাজারবাগের প্রশান্তি ক্লিনিকের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা গত ১৫ জুলাই তাঁর সিজার করানোর সিদ্ধান্ত নিলে শাম্মি যমজ কন্যাসন্তান জন্ম দেন। জন্মের পর থেকে বাচ্চা দুটিকে এনআইসিইউতে রাখা হয়। এরপর শাম্মির শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে, শাম্মির মৃত্যুতে পাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। শাম্মির আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শোকবার্তা দিয়েছেন পাবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. রোস্তম আলী, কোষাধ্যক্ষ ড. আনোয়ার পারভেজ খসরু, বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. এম আব্দুল আলীম, ড. আওয়াল কবির জয়, কামাল হোসেন প্রমুখ।