যশোরের করোনা পরিস্থিতি : প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা
যশোরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। সভায় কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা করোনার সার্বিক পরিস্থিত পর্যবেক্ষণ করছি। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা (লকডাউন) নেওয়া হবে।’
সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে যশোর জেলা। গত এপ্রিল মাসে যশোরে করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৫ শতাংশ। মে মাসে সেটা কিছুটা কমে ১৮ শতাংশে নেমে আসে। তবে চলতি সপ্তাহে এ হার বাড়তে শুরু করেছে। আজ সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘গত ২৬ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত চার হাজার ৩৭১ জন পাসপোর্টযাত্রী ভারত থেকে ফিরেছেন। তাদের যশোরসহ ছয় জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। যশোরে বর্তমানে সহস্রাধিক ভারতফেরত মানুষকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার একটু ঊর্ধ্বগামী। যে কারণে সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কঠোরতা আরোপ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থাও (লকডাউন) গ্রহণ করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনসহ করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।