‘যাঁরা সত্যিকারের রণাঙ্গনের যোদ্ধা তাঁদের অপমান করা হচ্ছে’
‘যারা সত্যিকারের রণাঙ্গনের যোদ্ধা বর্তমানে তাদেরকে অপমান করা হচ্ছে’ মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেছেন, “আপনার স্বামীর বইটি কি আপনার কাছে নেই? সে বইতে তিনি লিখেছেন ‘আমি আর শেখ হাসিনা মালিবাগ থেকে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা শুনেছি’, তাহলে আপনি কাকে অনুসরণ করেন?”
রিজভী বলেন, ‘আপনি বলেছেন জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিনা প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। ঐতিহাসিক সত্যের প্রমাণ লাগে না। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিনা, সেটা এখন প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার।’
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর ওপর নিপীড়ন কেন? কারণ একটাই, তিন সত্য কথা বলেন, লিখনী ক্ষুরধারর, আর লিখনী ক্ষুরধার হলে এই সরকারের সমালোচনা আসবে। একজন বিবেকবান মানুষ যদি সে সাংবাদিক হয় তাহলে তিনি লিখবেন না? অবশ্যই লিখবেন। আর এই অপরাধে তিনি আজ কারাগারে। আর যারা দুর্নীতি করছে, সন্ত্রাস করছে, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়ান এমপি মন্ত্রী হন।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক গুম দিবস, এই দেশে অনেকেই গুম হচ্ছে, হয়েছে। আর এসব গুমের মূল হোতা এই সরকার। গুমের মত একটি বিষয় আজ আমাদের জনগণের মুখে মুখে। কারণ এটিকে জনসংস্কৃতির অবিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে পরিণত করেছে এই সরকার। প্রতিদিন প্রতিটি ঘরে প্রতিটি মানুষ আতঙ্ক বিরাজ করছে কখন তার সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সত্য কথা বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে চলে যায়। রুহুল আমিন গাজী, কবি আল মাহমুদ এরা সব সময় সত্য কথা দেশের পক্ষে বলেছেন। সত্য কথা, দেশের পক্ষে বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যায়। সেই জন্যে এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের এ সরকার স্বীকৃতি দেয়নি। যারা টিক্কা খানের চাকরি করেছে। কিন্তু জয় বাংলা স্লোগান দেয় তারা আওয়ামী লীগের কাছে তাদের নেত্রীর কাছে প্রিয় হয়।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘দেশে যে অন্ধকার অত্যাচার নিমজ্জিত হয়েছে তার থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু রাজনৈতিক দল নয় পেশাজীবী সংগঠনসহ সবাইকে সংগ্রাম করতে হবে। এই অত্যাচারীর হাত থেকে মুক্তি না পেলে রুহুল আমিন গাজীর মত বরেণ্য ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চলতে থাকবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কবি আবদুল হাই শিকদার, এলাহি নেওয়াজ খান সাজু, মোদাব্বের হোসেন, খুরশিদ আলম, শাহীন হাসনাত, বাসির জামাল, রাশেদুল হক, দিদারুল আলম প্রমুখ।