যাত্রীশূন্য শিমুলিয়া ঘাট
সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের অভিমুখে দুটি চেকপোস্টে কাজ করছে পুলিশ ও বিজিবি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাটে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে সকাল থেকে একেবারে যাত্রীশূন্য অবস্থায় রয়েছে শিমুলিয়া ঘাট। তবে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আজ সকাল থেকে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি পরিবহণ ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে। সকাল থেকে ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি নেই।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, কঠোর বিধিনিষেধের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। শিমুলিয়ামুখী গাড়ি রোধ করা হচ্ছে। তবে মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রী নেই বললেই চলে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবনাথ জানান, সকাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ কাজ করছে। একাধিক চেকপোস্টে ও প্রতিটি থানায় গাড়িতে মাইক লাগিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে বাজার এলাকায় সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে জেলায় তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী, দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র্যাবের কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইনক্লুড করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গ্রাম পর্যায়ে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করবেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। রোভারদের বাজার মনিটরিং কাজে লাগানো যায় কিনা, তা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদিখানে, শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এরই মধ্যে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।