যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে তারা দেশের শত্রু : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা নিজের স্বার্থে পরিবেশের ক্ষতি করছে তারা দেশ, জাতি ও মানুষের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘পৃথিবীকে রক্ষা করতে বাস্তুসংস্থানসমূহ নিরাপদ করি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, প্রকৃতির ওপর যে অত্যাচার আমরা করছি, তারপরও প্রকৃতি আমাদের ওপর এখনো সদয় আছে, বিমুখ হয়নি। জীববৈচিত্র্যেও আমরা সমৃদ্ধ। কিন্তু নিজের স্বার্থে যারা পরিবেশ প্রকৃতি ধ্বংস করে, বড় বড় শিল্পপতি হয়েও যারা পরিবেশের ক্ষতির দিকটি মাথায় রাখেন না, বরং ধ্বংস করে, যারা নদীকে গলা চিপে মারে, এরা দেশ, জাতি ও মানুষের শত্রু।
মনুষ্যঘটিত কারণে শিল্পবিপ্লবের পর পৃথিবীর তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে, আর তাতেই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে, লবণাক্ততাসহ প্রাকৃতিক অনিয়ম বেড়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাতে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন দেশগুলোর সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ এর চেয়ারম্যান, তিনি এবিষয়ে সবসময় বিশ্বে সরব ভূমিকা নিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার কৌশলপত্র প্রণয়নে বাংলাদেশ ছিল অগ্রণী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বহুদেশ আমাদের কৌশলপত্র থেকে শিখেছে। এসকল কারণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতিসংঘের চ্যাম্পিয়ন অভ দ্য আর্থ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
ধরিত্রী দিবসের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে পরিবেশবিদ ড. হাছান বলেন, পৃথিবীই যদি বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায়, তাহলে অন্য সংবাদ গুরুত্ব হারাবে।
এসময় পরিতাপের সুরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে আজকে অধিকাংশ দৈনিকেই কোনো সংবাদ নেই, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও তেমন কোনো অনুষ্ঠান নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটি দিবসটি স্মরণ রেখেছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ।’
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশবিদ ড. আতিক রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর নাসরিন আহমাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মাহবুবা নাসরীন। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।