যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপিকে নিয়ে বক্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্তই ব্যক্তিগত : তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধের বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত, সরকারের কিংবা আমাদের দলের বক্তব্য নয়।’
সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় এবং তারা যেহেতু বারবার বিদেশিদের কাছে সব বিষয় নিয়ে ধরনা দেয়, সেই প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু মিডিয়ার সামনে একথা বলেছেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেনি।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সংহত করতে ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারা নির্বাচনে আসবে, সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।’
‘২০১৪ সালের নির্বাচন কারও জন্য দাঁড়ায়নি, ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে কি উঠবে না, সেটা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিল। পরে ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনের ট্রেনে গিয়েছিল। সুতরাং নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না’ বলেন ড. হাছান।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু হলেই বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়, চিঠি লেখে। এমনকি, বাংলাদেশকে সাহায্য দেওয়া পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য বিএনপি কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছে। বেগম খালেদা জিয়া নিজেই মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন টাইমসে এ নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন।’
ড. হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপিকে নির্বাচনভীতিতে পেয়ে বসেছে। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন না, তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করেছে। তাদের ভীতি দূর করার দায়িত্ব আমাদের নয়। তবে যারা গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, জনগণের রায়ে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। আমি আশা করবো, বিএনপি নির্বাচনভীতি কাটিয়ে উঠে নির্বাচনে অংশ নেবে।’
বিএনপিনেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি ২০১৯ সালের একটি বিস্ফোরক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি আছে। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলাও আছে। সে জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকালের মিছিলের সঙ্গে গ্রেপ্তারের কোনো সম্পর্ক নেই।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করেছিল, যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার হুকুমদাতা, তাদেরও গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’