যুদ্ধের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ভাবেনি
দেশবাসীকে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। ভারতের এ ভাইরাস আমাদের দেশেও চলে আসতে পারে। সবাইকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনলাইন জুম অ্যাপে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় চিকিৎসা ব্যবস্থার বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘মানুষ যুদ্ধ করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। অথচ চিকিৎসাসেবা দেবার জন্য খুব বেশি ভাবেনি। স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে তেমন কোনো পরিকল্পনাও নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব না দিলে মানুষ বাঁচতে পারবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারিতে বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ কতটা জরুরি। করোনা আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়া এ পৃথিবীতে মানুষ বেশিদিন বাঁচতে পারবে না। আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট অনেক কম। আমাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়ানোসহ বিনিয়োগও বাড়াতে হবে।’
আগামীতে স্বাস্থ্যখাতের সব পর্যায়ের কর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সফলভাবে সামলিয়ে নিয়েছিলাম। মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যাপক অনীহা ও অবহেলার কারণে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলে এসেছে। এখন এ ঢেউ কিছুটা কমে যাচ্ছে। তবে প্রথম ঢেউয়ের পর যেভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীন হয়েছিল সেই ঘটনা আবার ঘটতে দিলে খুব দ্রুতই দেশে তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কমিউনিটি ক্লিনিকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী প্রমুখ।
সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।