যুদ্ধে শুরুর পর রাশিয়া থেকে মোংলায় এল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্রাংশ
দেশের চলমান মেগা প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মূল যন্ত্রাংশ নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি ড্রাগনবল। আজ শুক্রবার বিকেলে বন্দরে ভিড়েছে জাহাজটি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর এটি এ দেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল বহনের দ্বিতীয় জাহাজ। রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসা এ জাহাজটি আজ বিকেলে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর বয়ায় ভেড়ে।
জানা গেছে, পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া থেকে জাহাজ থেকে কিছু পণ্য খালাস করা হবে। এরপর জাহাজটি কিছুটা হালকা হলে শনিবার বিকেলে সেটি বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে আনা হবে। জেটিতে আনার পর শনিবার সন্ধ্যা থেকে ওই জাহাজটি থেকে ফের পণ্য খালাসের কাজ শুরু হবে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ইন্টার পোর্টের খুলনা অফিসের জেনারেল ম্যানেজার অসিম কুমার সাহা বলেন, ‘গত ৬ জুলাই রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসা এ জাহাজ মোংলা বন্দরে পৌঁছাতে প্রায় ৩০ দিন লেগেছে। এ ছাড়া জাহাজটির গভীরতা বেশি থাকায় সরাসরি বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারছে না। তাই হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর বয়ায় রেখে কিছু পণ্য খালাস করে তারপর জেটিতে আনা হবে জাহাজটি।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, জাহাজটিতে রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা দুই হাজার ৮৬২টি প্যাকেজে গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারি যন্ত্রাপাতি এসেছে। এসব পণ্যের ওজন প্রায় পাঁচ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন। জাহাজ থেকে জেটিতে এ যন্ত্রাংশ খালাসের পর পরই তা সড়ক পথে ট্রাক ও লড়িতে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পাঠানো হবে।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল এ বন্দর দিয়ে আমদানি, খালাস ও পরিবহণের ক্ষেত্রে এক নবযুগের সূচনার সাক্ষী হয়ে থাকবে মোংলা বন্দর।’
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর রাশিয়া থেকে এমভি ফেসকো আলিশ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে এসেছিল। যুদ্ধ শুরু সাড়ে নয় মাস পর গত ১ আগস্ট প্রথম রাশিয়ান জাহাজ এমভি কামিল্লা আসে এ বন্দরে। আর তার চার দিনের মাথায় রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে আজ এসেছে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি ড্রাগনবল।