যে ১৬টি আলামত ফেরত পাচ্ছেন পরী মণি
চিত্রনায়িকা পরী মণির বাসা থেকে জব্দ করা গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ ১৬টি আলামত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এই আদেশ দেন।
পরী মণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, পরী মণির জব্দ করা ১৬টি আলামতের মধ্যে রয়েছে- একটি হ্যারিয়ার গাড়ি, দুটি ল্যাপটপ, তিনটি আইফোন, একটি আইপ্যাড, একটি মেমোরি কার্ড, একটি পেনড্রাইভ, একটি মডেম, একটি মাই স্টাইক, দুই ব্যাংকের দুটি ভিসা কার্ড, একটি গোল্ড কার্ড এবং দুটি পাসপোর্ট।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে, এই আদেশের পরে পরী মণিকে একটি বন্ড দিয়ে মুচলেকা দিতে হবে। সেই মুচলেকার পরে আদালত কর্তৃক একটি অর্ডারশিট (আদেশনামা) সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যাবে। এরপরে তদন্ত কর্মকর্তা বিচারকের আদেশের আলোকে পরী মণিকে তাঁর জব্দ করা ১৬টি জিনিস ফিরিয়ে দিবেন।
এর আগে গতকাল সোমবার এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেন পরী মণির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি পুলিশ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি জব্দ তালিকার মোট ১৬টি আলামত পরী মণিকে দেওয়ার জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘যদি পরী মণিকে তাঁর জব্দকৃত আলামত ও মালামাল ফেরত দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে তদন্তে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরী মণি তাঁর ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি গাড়ি ও মোবাইল, ল্যাপটপসহ আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জব্দকৃত জিনিসপত্র ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট রাজধানী বনানীর বাসা থেকে চিত্রনায়িকা পরী মণিকে বিপুল মাদকসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনে মামলা করা হয়। এরপর গত ৫ আগস্ট তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেই রিমান্ড শেষে গত ১০ আগস্ট বনানী থানার মামলায় পরী মণিকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ পরী মণির জামিনের আদেশ দেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান পরী মণি।