রংপুরে শয়নকক্ষে মিলল স্ত্রীর গলাকাটা লাশ, স্বামী আটক
রংপুরের তারাগঞ্জে নিজ শয়নকক্ষ থেকে সালমা আক্তার পুটি (৪৫) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার জুমআর নামাজের আগে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রাম থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা আটকে রেখে স্বামী আব্দুল্লাহকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সালমার স্বামী আব্দুল্লাহ চিৎকার দেন যে, তার স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন বিছানায় পড়ে আছে সালমার গলাকাটা লাশ। সন্দেহ হলে তারা আব্দুল্লাহকে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে আমরা আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেখানে তৎপরতা চালায়।
এদিকে, রংপুর থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) সিফাত-ই-রাব্বানী, পিবিআই ও সিআইডির টিম। তৈরি করা হয় সুরুতহাল রিপোর্ট। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, সালমা আব্দুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী। সালমার ঘরে লাভলু (১৫) ও শাহীন (১৩) নামের দুই ছেলে আছে। এছাড়াও তার প্রথম স্ত্রী হোসনে আরা আশরাফুল ইসলাম ফকির (৩৫) নামের এক ছেলে সন্তান আছে। এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যেই স্বামী আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়েছে।
সালমার ভাই ভুট্টু মিয়ার দাবি, ‘কিছুদিন ধরে জামাই আব্দুল্লাহর সঙ্গে আমার বোনের গরু বিক্রির টাকা ও বসতভিটার জমি নিয়ে ঝগড়াঝাটি চলছিল। আব্দুল্লাহ ও প্রথম বউ এবং পুত্র আশরাফুলসহ আমার বোনকে গলাকেটে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’