রফিকুল ইসলাম মাদানীকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ
মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৬) দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাবাদের জন্য গাজীপুরের গাছা থানায় নিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাঁকে থানায় নেওয়া হয়।
রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারগার-২-এর জেলার মো. আবু সায়েম জানান, ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দুইদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ কারাগার থেকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানায় নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গত ৮ এপ্রিল গাছা থানায় ও ১১ এপ্রিল বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গত ৭ এপ্রিল ভোররাতে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব-১-এর সদস্যরা। ওই দিন রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাঁকে হস্তান্তর করা হয়। ৮ এপ্রিল মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন র্যাব-১-এর ডিএডি নায়েব সুবেদার মো. আব্দুল খালেক। এ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, আটককালে রফিকুল ইসলাম মাদানীর কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এছাড়াও জব্দকৃত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ ‘এডাল্ট কনটেন্ট’ অশ্লীল ভিডিও চিত্রসহ পর্নোগ্রাফি পাওয়া গেছে। এসব এডাল্ট ছবি ও ভিডিও তিনি নিয়মিত দেখতেন এবং সেগুলো স্টোর করতেন ও লিংক দিতেন। এজন্য রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুজুকৃত মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এ মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৩ এপ্রিল সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। ১৫ এপ্রিল রিমান্ড শুনানির দিনে তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন নাহার।