রফিকুল ইসলাম মাদানীর সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ মে
ইসলামি বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এই দিন ধার্য করেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ রাজধানীর মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামসহ দুজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সকালে সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে এদিন আদালতে সাক্ষী না আসায় বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ মে দিন ধার্য করেন।
নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১১ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টেকনগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবলীগকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ মামলায় গত বছরের ১৮ এপ্রিল আদালতে রফিকুল ইসলামের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গত বছরের ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনার বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর র্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জিএমপির গাছা থানায় একটি মামলা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলাটি করা হয়।
পরে গত বছরের ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল জব্দ করে সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি নিয়মিত অশ্লীল ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজধানীর মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। সে মামলায় আজ মঙ্গলবার অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।