রবীন্দ্রনাথকে জানার মাধ্যমে শিশুরা মুক্তমনের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে : প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথের কবিতা-গান বাঙালির আন্দোলন, সংগ্রাম ও সংকটে প্রেরণার উৎস। তিনি লেখনির মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মানুষকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। বিশ্বসাহিত্যের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র এবং বাংলা ও বাঙালির অহঙ্কার রবীন্দ্রনাথ। তিনি ছিলেন শ্রমিক, কৃষক, শিশু-কিশোর সকলের আপনজন। শিশুদের জন্য রচনা করেছেন অসংখ্য কবিতা, ছড়া ও গান। শিশুদের রবীন্দ্রনাথকে জানার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তমনের মানুষ হিসেবে বড় হতে হবে।’
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ সোমবার (৮ মে) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে’ শিরোনামে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ দেশের উন্নয়নে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছেন। প্রজাদের উন্নয়নে গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করেছিলেন। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে শহরের সকল নাগরিক সুবিধা গ্রামে পৌছে দিচ্ছেন। দেশজুড়ে গ্রামকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে সস্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ‘আমাদের রবীন্দ্রনাথকে জানতে হবে। রবীন্দ্র রচনাবলীর মর্মবাণী বুঝতে হবে। রবীন্দ্রনাথ আমাদের দেশকে ভালোবাসতে ও দেশের জন্য জীবন দিতে শেখায়।’
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অদিতি মহসিন, স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব রওশন আরা বেগম, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার প্রমুখ।