রাজধানীতে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
রাজধানীতে অনুমোদনহীন ওষুধ ও ঘি রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার আফতাব নগরে অবস্থিত তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানটি পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অনুমোদনহীন ওষুধ ও পণ্য রাখার দায়ে আল্টিমেট অর্গানিক লাইফকে সাড়ে তিন লাখ, ইন-মোশন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালকে এক লাখ এবং ডেইলি শপিং নামের আরেক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
গণমাধ্যমের খবর, সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা দুটি প্রতিষ্ঠানই আলোচিত চিকিৎসক জাহাঙ্গীর কবিরের। তবে, এ বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘জাহাঙ্গীর সাহেব মালিক কি না, তা আমি জানি না। অভিযান চালানোর সময় যেসব ডকুমেন্ট আমরা দেখেছি, সেখানেও জাহাঙ্গীর সম্পর্কে কোনো তথ্য ছিল না।’
তবে, আল্টিমেট অর্গানিক লাইফের হট লাইনে কল করে এনটিভি অনলাইন। জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি নারেছা বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো নিয়ে আমি কোনো তথ্য দিতে পারছি না। তবে, এ প্রতিষ্ঠানটির মালিক জাহাঙ্গীর স্যার।’
তবে, বাকি দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক কে; সেটি নিশ্চিত হতে পারেনি এনটিভি অনলাইন। অন্যদিকে, আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক কে, তা খোঁজারও দরকার হয় না আমাদের। আমরা নিয়ম অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করেছি।’
আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘আল্টিমেট অর্গানিক লাইফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফুল ইসলামের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। বাকি দুটি প্রতিষ্ঠানের কারও নাম এ মুহূর্তে আমার মনে আসছে না।’
গত তিন বছর ধরে প্রচলিত ধারার চিকিৎসার তুলনায় একটু আলাদা ধরনের চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে আলোচিত হন জাহাঙ্গীর কবির। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে যেসব ভিডিও আপলোড করা হয়েছে, সেখানে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো, জীবনধারা পরিবর্তন ইত্যাদি পরামর্শ রয়েছে।
ফেসবুক ও ইউটিউবে বিকল্প বা ব্যতিক্রমী চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময় মূল ধারার চিকিৎসকদের রোষানলে পড়েছিলেন জাহাঙ্গীর কবির। ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর) ‘অবৈজ্ঞানিক, অসত্য ও সম্মানহানিকর’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীর কবিরকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল।
শুধু তাই নয়, তারা এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলেও অভিযোগ করে।