রাজধানীতে দিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের, বাড়বে শৈত্যপ্রবাহ
কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে প্রচণ্ড শীতে বিপাকে পড়েছে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বাদ যায়নি রাজধানী ঢাকাও। আর গত তিন দিন ধরে শীতের এমন তীব্রতা আগে সহ্য করতে হয়নি, বলছে নগরবাসী।
আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) এই তাপমাত্রা নেমে আসে ১১ দশমিক পাঁচ ডিগ্রিতে। দিনের বেলাও রাজধানীর আকাশে দেখা মেলেনি সূর্যের। যদিও দেশের ও এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।
এদিকে, শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিপ্তর বলছে, সারা দেশে শৈত্যপ্রবাহ আরও বাড়বে। অন্যদিকে, হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।’
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ‘ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা ও বরিশাল জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।’
আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৬ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, ‘উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।’
এনটিভি অনলাইনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের বরাতে জানান, ‘সেখানে ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।’
রফিকুল জানান, কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে ওই অঞ্চলের কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। জীবন-জীবিকার জন্য শীত উপেক্ষা করে বাইরে বের হতে হচ্ছে তাদের। কোথাও কোথাও লোকজনকে আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি করেছে জেলার অসহায় মানুষেরা।