রাজধানীতে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন
রাজধানীতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের নভেল করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকার আরও আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
সরকার প্রথমে রাজধানীর ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু, যথাযথ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা না থাকায় ১২টির বদলে আপাতত আটটি বিদ্যালয়ে এ টিকা দেওয়া হবে। আর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সুবিধার প্রস্তুতি শেষে দ্রুত ২১ জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। এখন সবাইকে ফাইজারের টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিকার সংকটও আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
যে আট স্কুলে টিকাদান কর্মসূচি
স্কুলগুলো হচ্ছে—মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগং গ্রামার স্কুল, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমণ্ডির কাকলী স্কুল, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল।
গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের চারটি বিদ্যালয়ের ১২০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হয়েছিল করোনার টিকা। কোনো সমস্যা না পাওয়ায় আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কর্মসূচি। মূলত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও যন্ত্রের সুবিধা না থাকায় সীমিত আকারে এ কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে এ টিকা কার্যক্রম দেশের ২১ জেলায় দেওয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে সারা দেশে এ কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বারো থেকে ১৭ বছর বয়সীরা টিকার নিবন্ধন কীভাবে করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘প্রথমে স্কুল থেকে একটি তালিকা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে আসতে হবে। মন্ত্রণালয় সেটা যাচাই-বাছাই করে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে দিয়ে দিবে। তারপর স্কুল কর্তৃপক্ষ বা অভিভাবক সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করবে। শিশু যেদিন টিকা নিবে, সেদিন সে তাকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও জন্ম সনদের ফটোকপি নিয়ে স্কুলে যেতে হবে।’
আপাতত প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার শিক্ষার্থীকে ফাইজারের এ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরবর্তীকালে দিনে ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।