রাজধানীর সড়কে বেড়েছে যানবাহন, অলিগলিতে জনসমাগম
রাস্তায় মানুষ আর মানুষ। গণপরিবহণ না থাকলেও মানুষের এতটুকুও কমতি লক্ষ্য করা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত গাড়ি আর রিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহরজুড়ে। সারা শহরটা যেন রিকশার শহরে পরিণত হয়েছে।
তবে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালনে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেজন্য রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। যদিও তল্লাশি চৌকিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শিথিল মনোভাবই লক্ষ্য করা গেছে।
আবার কিছু কিছু চেকপোস্টে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। সেখানে থাকা দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের আশপাশে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে নজর রাখতে বা অন্যত্র গল্প করতে দেখা গেছে। এসব চেকপোস্টের পাশ দিয়ে অবাধে যানবাহন চলাচল করছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, কলাবাগান, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল ও যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।
এ ছাড়া রাজধানীর পুরান ঢাকায় প্রধান সড়কগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়লেও অলিগলিতে রয়েছে মানুষের ভিড়।
ফার্মগেট ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দুটি তল্লাশি চৌকির একটিতে কোনো পুলিশ সদস্যকে থাকতে দেখা যায়নি। তাঁরা আশপাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই দুই চৌকির পাশ দিয়েও অবাধে চলছে যানবাহন।
তেজগাঁও ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শেখ মোহাম্মদ শামীম বলেন, ‘আগের চেয়ে যাত্রী বেড়েছে, এটা সত্য। তবে আমরা সচেতন রয়েছি। মানুষের পথ আটকে দিয়ে বাইরে আসার কারণ জানতে চাচ্ছি।’
যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘আমরা চেকপোস্টে তল্লাশি করছি। সম্প্রতি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খুলেছে। ফলে লোকজনও বেড়েছে। তবে বিধিনিষেধের মধ্যে যারা চলাচল করতে পারবেন বলে সরকার ঘোষণা করেছে, আমরা তাদের চলতে দিচ্ছি। এ ছাড়া অকারণে বাইরে বের হলে আমরা মামলা দিচ্ছি।’
তবে গণপরিবহণ না থাকায় অফিসগামী মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। শাহীন হোসেন একজন ব্যাংকার। তিনি মোহাম্মদপুর থেকে পল্টন যান প্রতিদিন। কঠোর বিধিনিষেধের জন্য তাঁকে রিকশায় চড়ে অফিস করতে হয়। শাহীন বলেন, ‘আমাকে প্রতিদিন অন্তত ৫০০ টাকা রিকশা ভাড়া দিতে হয়। এভাবে তো সব বেতনের টাকা চলে যাচ্ছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’