রাজশাহীতে শুক্রবার বিকেল থেকে লকডাউন
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাজশাহী নগরীতে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে আগামী ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউন বহাল থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে রাত ৯টার দিকে রাজশাহী সার্কিট হাউজে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক।
পরে বিভাগীয় কমিশনার সাংবাদিকদের লকডাউনের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে প্রথমে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তারপর আরও দুই ঘণ্টা এগিয়ে বিকেল ৫টা থেকেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই কয়দিন আমরা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। কোথাও করোনার নিম্নমুখী সংক্রমণ, কোথাও ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণই বেশি। তাই শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত রাজশাহী শহরে সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার আরও জানান, লকডাউন চলাকালে রাজশাহী মহানগরীতে সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধের দোকান বা অন্যান্য জরুরি সেবার দোকান খোলা যাবে। খাদ্যদ্রব্য, পণ্যবাহী ও জরুরি সেবার যানবাহন চলাচল করবে। এর বাইরে রিকশা, অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। এমনকি ঢাকাগামী বাস চলাচলও বন্ধ থাকবে।
আগামীকাল শুক্রবার সকালের পরিবর্তে বিকেল ৫টা থেকে লকডাউন শুরুর কারণ ব্যাখা করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘অনেকে রাজশাহী এসেছেন, তাঁরা চলে যাবেন। কিংবা রাজশাহীর কেউ বাইরে আছেন, তাদের রাজশাহী ফেরা প্রয়োজন, সে কারণে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। কারণ, লকডাউনের এই ঘোষণাটি রাতে দেওয়া হলো। অনেকে সেটা হয়ত জানতে পারবেন না। শুক্রবার ৫টার মধ্যে মানুষজন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনতে পারবেন।’