রাজৈরে দুপক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ২৫
মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ওসি ও সাত পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে উত্তেজিত জনতা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান টিপুকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে চেয়ারম্যানকে মুক্ত করে পুলিশ।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমগ্রাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার আমগ্রাম বাজারে বিচরণ বাড়ৈ নামের এক ব্যক্তির ওপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান টিপুর লোকজন হামলা করে। এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে শতশত উত্তেজিত জনতা বর্তমান চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ৬৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উত্তেজিত জনতা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ কয়েকটি বাড়ি ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ সময় জনতার ইটপাটকেলের আঘাতে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেনসহ সাত পুলিশ আহত হয়। অন্য আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বিচরণ বাড়ৈ, শরৎ মণ্ডল, পলাশ বাড়ৈকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি আমগ্রাম বনেরবাড়ী দক্ষিণপাড়া সেনখালীতে একটি খাল ভরাট করে বঙ্গবন্ধু আশ্রয়ণ নামের দুটি আবাসন প্রকল্প নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করে আসছিলেন বিচরণ বাড়ৈ ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সুভাষ বাড়ৈ গংরা। এরই জের ধরে বিচরণের ওপর হামলা করে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন।
রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, শর্টগানের ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে হয়েছে। এ সময় জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে ওসিসহ সাত পুলিশ আহত হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা করা হয়নি।