রাবিতে ছাত্রলীগনেতার বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীকে মারধরের অভিযোগ
আবাসিক হলের টিভি রুমে ধূমপান করতে নিষেধ করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি মর্নিং-এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন ইসলামকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গিয়াসউদ্দীন কাজল এবং তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাহাব উদ্দীনের বন্ধুরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।
মারধরের অভিযোগের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া কাজল ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) একজন সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিভি রুমে আইপিএল খেলা দেখার সময় কাজল ধূমপান করছিলেন। তখন শাহাবুদ্দিন তাঁকে বাইরে গিয়ে ধূমপান করতে বলেন। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে কাজলসহ কয়েক জন শাহাবুদ্দিনকে মারধর শুরু করেন।
আহত শাহাবুদ্দিনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে—ঘটনার দুই ঘণ্টা পার হওয়ার পরেও ওই হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. শামীম হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি। এবং বারবার তাঁকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে, দায়িত্বে অবহেলার কারণে হল প্রাধ্যক্ষকে অব্যাহতি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্তদের বহিষ্কার এবং পরবর্তীকালে কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে একটি সুষ্ঠু সিদ্ধান্তের দাবি জানিয়েছেন ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকেরা। তাঁদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
পরে রাত ২টার দিকে এক দিনের মধ্যে এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ও ছাত্র-উপদেষ্টা মো. তারেক নূরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যেরা উপস্থিত ছিলেন৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘আজ অফিস সময়ের শুরুতেই এ বিষয়ে হল প্রশাসনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বসবে। এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হওয়া দরকার। এবং তোমাদের যে তিনটি দাবি রয়েছে—সেগুলো সরাসরি আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।’
এদিকে, ঘটনার বিষয়ে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমি ব্যস্ত আছি, এখন যেতে পারব না। পরে বিষয়টি দেখছি।’