রাবি ক্যাম্পাসে হাসান আজিজুল হককে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা
উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মরদেহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হয়েছে। এর আগে মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর প্রিয় দর্শন বিভাগে, যেখানে দীর্ঘদিন তিনি শিক্ষকতা করেছেন।
আজ বাদ জোহর কথাসাহিত্যিকের মরদেহ রাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হবে। এরই মধ্যে গ্রন্থাগার চত্বরে কবর খননের কাজ শুরু হয়েছে।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে হাসান আজিজুল হকের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর প্রশাসন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষ তাঁর মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন।
নাট্যজন অধ্যাপক মলয় ভৌমিক জানিয়েছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে সমাহিত করা হবে জ্ঞানের বাতিঘর অধ্যাপক হাসান স্যারকে। আজ দুপুরে হাসান আজিজুল হকের মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাঁর দাফনকাজ সম্পন্ন করা হবে।
গতকাল সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহী নগরীর চৌদ্দপাই এলাকার নিজ বাসভবন উজানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র হাসান আজিজুল হক। আজ মঙ্গলবার সকালে গোসলের কাজ সম্পন্নের পর কাফনে জড়ানো কফিন রাখা হয় তাঁর বাসার সামনে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ছাড়াও কবি-সাহিত্যিকেরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তাঁরা হাসান আজিজুল হকের জীবনের নানা দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
১৯৭৩ সালে দর্শন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে রাবিতে যোগ দেন হাসান আজিজুল হক। দীর্ঘ শিক্ষকতা শেষে ২০০৪ সালে তিনি অধ্যাপনা থেকে অবসর নেন। বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল এই নক্ষত্র দর্শন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত আপনজন।
এর আগে গত ২১ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসান আজিজুল হককে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ২২ দিন চিকিৎসা শেষে তিনি আবারও ফিরে যান রাজশাহীতে। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি রাজশাহী নগরীর চৌদ্দপাই এলাকার নিজ বাসভবনে বসবাস করছিলেন।