রামপালে টানা বৃষ্টিতে চিংড়িঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, পুকুর ও চিংড়ি ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মানুষ।
উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা তিনদিনের বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ঘরবাড়ির দিক দিয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উজলকুড় ইউনিয়নে। এ উপজেলায় মোট ১৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্যে ১২টি আংশিক ও তিনটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত। এছাড়া ব্যাপক গাছপালাও উপড়ে পড়েছে।
অতি বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৯৩২ হেক্টর জমির তিন হাজার ৫৪২টি পুকুর ডুবে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ ৮৬ হাজার টাকার। এছাড়া এক হাজার ৩২ হেক্টর জমির তিন হাজার ২৩৭টি চিংড়িঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকার।
এ ছাড়াও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে নয় লাখ টাকার। জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন এ উপজেলার তিন হাজার ৬৫০টি পরিবারের প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মানুষ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কবীর হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার সর্বত্রই কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্গতদের স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে খাদ্যের পাশাপাশি সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারপরও যাদের প্রয়োজন তারা ৩৩৩ নম্বর কল করলে আমরা তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেব।’