রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এল ৩৬ হাজার টন কয়লার প্রথম চালান
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মোংলা বন্দরে এসেছে জ্বালানি কয়লার প্রথম চালান। ওজনে তা ৩৬ হাজার টন। আমদানি করা এই কয়লা লাইটার জাহাজে করে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া শুরু হয়েছে গতকাল থেকেই।
রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিজিএম আনোয়ারুল আজীম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই প্রথম রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম জ্বালানি কয়লা আমদানি করা হলো। বাংলাদেশের পতাকাবাহী এমভি আকিজ হেরিটেজ জাহাজে করে ইন্দোনেশিয়া থেকে এই কয়লা আমদানি করা হয়েছে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক মো. খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, ‘গত ২০ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তানজুম ক্যাম্ফা বন্দর থেকে ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে আকিজ হেরিটেজ জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর গত ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজটি ভিড়ে সেখানে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্টিক টন কয়লা খালাস করে। পরে ৩৬ হাজার মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে জাহাজটি ছেড়ে আসে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়া-১১ নম্বর বয়ায় জাহাজটি অবস্থান করবে বলেও জানান খন্দকার রিয়াজ।’
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আমদানিকৃত জ্বালানি কয়লা গতকাল বিকেল থেকেই খালাস শুরু হয়েছে উল্লেখ করে ডিজিএম আনোয়ারুল আজীম বলেন, ‘এই কয়লা দিয়ে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এই দুই মাসে কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলক চালানো হবে। তারপর অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।’
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, এই বিদুৎকেন্দ্রটির মূল অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সংস্থা হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচএল)। ২০১০ সালে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক শুরু হয় নির্মাণকাজ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এখান থেকে দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট করে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে।
এ সময় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোপানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরামউল্লাহ, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজীম, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, রামপাল থানা ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুউদ্দীনসহ স্থানীয় অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।