রামেকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে ১২ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। বাকিরা মারা যান উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনা ইউনিটে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজন, নওগাঁর তিনজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরের দুজন করে। মৃত ১২ জনের মধ্যে চারজন মারা গেছে আইসিইউতে। এ ছাড়া একজন কেবিনে, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন, এক নম্বর ওয়ার্ডে একজন এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন মারা গেছে। আর করোনা পজিটিভ হয়ে যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন রাজশাহীর, একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, একজন নওগাঁর ও অপরজন নাটোরের। এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত ছয়জনের মধ্যে দুজনের বাড়ি রাজশাহী, দুজনের নওগাঁয় এবং একজনের নাটেরে।
হাসপাতাল পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪১ জন। বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউ’র ২০টি ও কেবিনের ১৫টি বেডসহ নয়টি করোনা ওয়ার্ডে ৩০৯ বেডের বিপরীতে ভর্তি রোগী আছে ৩৪৯ জন, আগের দিন যা ছিল ৩৫৮ জন।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুটি পিসিআর ল্যাবে রাজশাহী অঞ্চলের তিন জেলার সর্বশেষ ৫৬১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। তিন জেলায় গড় শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ২১ শতাংশ। এর মধ্যে রাজশাহীতে শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং নাটোরে ৩০ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে রাজশাহী মহানগর এলাকায় ১৪ দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের আজ শুক্রবার অষ্টম দিন চলছে। লকডাউনের ফলে মহানগর এলাকায় ওষুধ ও কৃষিপণ্যের দোকান এবং জরুরি সেবার দোকান ছাড়া সব ধরনের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কাঁচাবাজার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা থাকছে। তবে সেখানে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের অফিস বন্ধ রয়েছে। জরুরি সেবা, রোগী পরিবহণ ও কাঁচামাল পরিবহণের সঙ্গে জড়িত যানবাহন ছাড়া মহানগর এলাকার সঙ্গে সারা দেশের সরাসরি বাস ও ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।