রাশিয়ার সহযোগিতায় দেশেই টিকা বানানো সম্ভব : ডা. জাফরুল্লাহ
রাশিয়ার সহযোগিতায় দেশে করোনাভাইরাসের টিকা বানানো সম্ভব। এ জন্য বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব ও এর থেকে উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই ওয়েবিনার হয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাশিয়ার সহযোগিতায় কিউবা, ইরান তাদের নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। তাদের সহযোগিতায় আমরাও ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব। আমরা কিউবার মতো ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব। তখন এর দাম পড়বে আধা ডলার। দেশে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য আমি আগেও প্রস্তাব করেছি, আবার করছি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আছেন, অধ্যাপক আজাদ আছেন, বিজন কুমার শীল আছেন। আরও যারা দু-চারজন আছেন, তাদের নিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হবে। তিনি বলেন, আজ চীন ১০০ কোটি টিকা তৈরি করে বিক্রি করবে। ছয় মাস আগে আমাদের এখানে চীন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে চেয়েছিল কিন্তু সেটা হয়নি। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, এখানে বিনিয়োগের প্রয়োজন।
করোনার একটা টিকা তৈরি করতে আধা ডলারের বেশি খরচ হয় না জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এজন্য ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন। দেশে অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা ইচ্ছা করলে সাত দিনের মধ্যে ৫০ কোটি টাকা জোগাড় করে দিতে পারেন। এতদিন যারা দেশ শোষণ করেছেন তারা ভালো একটা কাজ করতে পারেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, আমাদের টার্গেট হওয়া উচিত ছয় মাসের মধ্যে নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি করা। এই একটা কাজ করলেই প্রধানমন্ত্রী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক বিজন কুমার শীল। তিনি বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে ফ্লু ভাইরাসের যথেষ্ট মিল রয়েছে এবং এটি খুব দ্রুত ছড়ায়। ফলে পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে বাকি সবাই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ভাইরাসের ভয়াবহতা রোধে কেউ একজন আক্রান্ত হলে তার নিকটজন সবাইকে পরীক্ষা করতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।
বিজন কুমার শীল বলেন, আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। জিংকের সমন্বয়ে তৈরি ভিটামিন সি গ্রহণ ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধ সম্ভব।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লায়লা পারভীন বানু। আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, পিএইচসির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।