রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকতে চায় আওয়ামী লীগ : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, এটা প্রমাণ হয়েছে।’
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত ‘২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে এ মন্তব্য করেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী এ সরকারের মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতনের যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি র্যাব ও বাহিনীটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সে সত্যকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের ফলে মৃত্যু, প্রতিবাদকারী ব্যক্তিদের পিতা-মাতা, ভাই-বোনদের গ্রেপ্তার, বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার, বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া ও কারাগারে পাঠানো রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, সন্ত্রাস এবং আগের রাতে সিল মারা, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন করে ভোটকেন্দ্রে আসতে না দিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে নির্বাচন ব্যবস্থাকে জালিয়াতিপূর্ণ বলে অভিহিত করায় প্রমাণিত হয়েছে যে, অনির্বাচিত আওয়ামী সরকারের অধীনে কখনও অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মার্কিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে—মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, সংবাদকর্মীদের নির্যাতন এবং নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে।’
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে উল্লেখিত বিষয়গুলোকে ব্যাপকভাবে প্রচারের মাধ্যমে জনমত গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।