রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ২ টন আম জব্দ করে ধ্বংস
আন্তর্জাতিকভাবে সাতক্ষীরার আমের সুখ্যাতি রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সেই সুনাম নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। সাম্প্রতিককালে প্রায়ই রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কাঁচা আম ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা পড়ছে। তবুও থামানো যাচ্ছে না এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার (১৬ এপ্রিল) ধরা পড়েছে ২ টন (২০০০ কেজি) রাসায়নিক দিয়ে পাকানো গোবিন্দভোগ আম। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কামটা গ্রামে আমের গুদামসহ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই আম জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
আজ বিকেল ৪টার দিকে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালিদ হোসেন সিদ্দিকী এই অভিযান পরিচালনা করেন। পরে আমগুলো কেটে এবং পিকআপের চাকায় পিষে নষ্ট করা হয়।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে গেছে অসাধু আম ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে ইউএনও খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, দেবহাটার কামটা গ্রামে রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে গোবিন্দভোগ আম বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে—এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তার সত্যতা মেলে। গুদামজাত করে রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হচ্ছিল এসব আম। তবে অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে গেছে এর মালিকরা। বেশ কয়েকটি বাড়িতে ও গুদামে এসব আম রাখা হয়েছিল। আমগুলো জব্দ করে তা বিভিন্ন উপায়ে নষ্ট করা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, ‘বেশ কিছুদিন যাবত সাতক্ষীরায় এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের আম রপ্তানিতে সাতক্ষীরার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। মৌসুম শুরু আগ পর্যন্ত আমাদের এ ধরনের অভিযান চলবে।’
এদিকে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় আম সংগ্রহের দিনক্ষণ ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সভায় ১২ মে তারিখে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস, বোম্বাই ও বৈশাখি জাতের আম সংগ্রহ করা হবে, হিমসাগর ২৫ মে, ল্যাংড়া ১ জুন ও ১৫ জুন তারিখে আম্রপালি জাতের আম সংগ্রহ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আম ব্যবসায়ী, আম চাষি ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।