রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষান্ত হবে না : আইনমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে যে কমিশন গঠিন করা হবে তা অবশ্যই নিরপেক্ষ হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, পলাতক পাঁচ খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণ ক্ষান্ত হবে না।
আজ রোববার ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ইনডেমনিটি নামক কালো আইন দ্বারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই কালো আইন বাতিলের মাধ্যমে তাঁর পিতা-মাতাসহ আপনজনদের হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি বিদেশে পালিয়ে আছেন। তাদের ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিরহংকার, সাদামাটা মানুষ। তিনি অনেক বড় মাপের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপন করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মতো আমাদের চলতে হবে। তাঁর আদর্শ ধারণ করতে হবে। ব্যক্তি শেখ মুজিব কী জিনিস ছিলেন সেটাও ধারণ করতে হবে।
এ সময় আইনমন্ত্রী কমিশন গঠনের বিষয়ে বলেন, দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এই কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ও নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। জিয়াউর রহমানসহ সবার পরিচয়, সবার ন্যক্কারজনক কাজ সাক্ষ্যপ্রমাণসহ জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শদীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, সলিসিটর রুনা নাহিদসহ নিবন্ধন অধিদপ্তরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তৃতাদানের আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।