রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে আরও নিষেধাজ্ঞা বাড়ল
বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে থানচিতে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে দুটি উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরও চারদিন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলার সাময়িক নিষেধাজ্ঞা সপ্তম দফায় আরও চার দিন বাড়িয়ে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এর আগে ষষ্ঠ দফায় ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা ছিল তিনটি উপজেলায়। তবে এবার থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, আলীকদমের পর এবার থানচিতেও পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হওয়ায় নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণে গত ১৮ অক্টোবর থেকে চলমান নিষেধাজ্ঞা আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে রুমা ও রোয়াংছড়ি ব্যতীত অন্যসব উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে কোনো বাধা নেই।
এদিকে পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় গোটা বান্দরবান জেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোর দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোও। এদিকে নিষেধাজ্ঞায় রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝরনা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝরনা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝরনাসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে না পর্যটকরা।