রুমিন ফারহানাকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে তাঁকে আশুগঞ্জ উপজেলার উজান ভাটি হোটেলে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ।
রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাওয়ার পথে ভৈরব টোল প্লাজায় তাঁকে এক ঘণ্টা আটকে রাখে পুলিশ। অনেক কথা-কাটাকাটির পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু (ভৈরব-আশুগঞ্জ সড়ক সেতু) দিয়ে তিনি আশুগঞ্জ উপজেলার দিকে রওনা হন। পরে আশুগঞ্জে সেতুর ওপরই পুলিশ আবার তাঁকে আটক করে। মূলত পুলিশ তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেতে দিচ্ছে না।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশের বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছি। মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েছি। কিন্ত তাঁদের কেউ কোনো সাড়া দেননি। আমার জেলায় আমি যাব। এটা আমার অধিকার। আমাকে কোন আইনে পুলিশ আটক করে? পুলিশের কোনো অধিকার নেই আমাকে আটক করার। পুলিশ আমাকে বেষ্টনী দিয়ে আশুগঞ্জের উজান ভাটি হোটেলে নিয়ে গেছে। আমি এখান থেকে সংবাদ সম্মেলন করব।’
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই সাংসদ রুমিন ফারহানাকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে উজান ভাটি হোটেলে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। তিনি দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই স্থানে জেলা বিএনপি ও ছাত্রলীগ সমাবেশ ডাকায় পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। আজ সকাল ৬টা থেকে সমাবেশস্থল ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারসহ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবত আছে।