রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তার গাড়িতে মিলল চালকের মরদেহ
নিখোঁজের দুদিন পর বিলাসবহুল গাড়ির ভেতর মিলল সম্রাটের (২৮) বস্তাবন্দি মরদেহ। আজ শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার পুলিশ সদস্যরা জেলার চরসাদীপুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। সম্রাট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন। যে গাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়, সেটিও এক রুশ কর্মকর্তার।
নিহত সম্রাট ঈশ্বরদী উপজেলার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। এক প্রত্যক্ষদর্শী দোকানি জানান, গত বুধবার থেকে খেয়াঘাট এলাকায় গাড়িটি পড়েছিল। তারা প্রথমে মনে করেছিলেন, গাড়ি রেখে পদ্মা পার হয়ে কেউ কাজে গেছেন। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তারা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ গিয়ে গাড়ি থেকে বস্তাবন্দি সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন হোসাইন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও গাড়িটি দেখেছেন। তবে কেউ বেড়াতে এসেছেন ভেবে চলে যান। আজ খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। গিয়ে ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।’
ওসি জানান, দুদিন আগে সম্রাট নিখোঁজ হলে তার স্ত্রী ওদিনই ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমা খাতুন (২৮) নামের এক নারীকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা।
ওসি আরও জানান, গাড়িটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একজন রুশ কর্মকর্তা ব্যবহার করেন। যেহেতু নিহত সম্রাট নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে, সে কারণে সম্রাটের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঈশ্বরদী থানায় পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার গাড়িটি জব্দ করে কুমারখালী থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।