রোজার ঈদে কথা শুনলে এভাবে করোনা ছড়াত না : প্রধানমন্ত্রী
কোরবানির ঈদের আগে গত রোজার ঈদের কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সমস্যা হচ্ছে যে, জনগণকে গত ঈদুল ফিতরে বারবার অনুরোধ করলাম যে, আপনারা আপনাদের জায়গা ছেড়ে যাবেন না। কিন্তু অনেকেই তো সেই কথা শোনেনি। সবাই ছুটে চলে গেছে। আর তার ফলাফলটা কী হল? যারা বাইরে ছিল, পুরো বর্ডার এলাকায়, বিভিন্ন জেলায় এই করোনাটা ছড়িয়ে পড়ল। সবাই তখন যদি আমার কথাটা শুনত, তাহলে আজকে এমনভাবে করোনাটা ছড়িয়ে পড়ত না।’
মানুষের বাড়ি যেতে চাওয়ার প্রবণতাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রী সংক্রমণ এড়াতে মহামারিকালে সবাইকে এক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। সংক্রমণ এড়াতে জনসমাগম এড়িয়ে চলা, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক পরার ওপর জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি প্রতিরোধে সরকার যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, সেগুলো মেনে চললে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। আমরা এখন লকডাউন ঘোষণা করেছি। আমি দেশবাসীকে বলব, আপনারা অন্ততপক্ষে নির্দেশনাগুলো মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখেন, অন্যকে সুরক্ষিত রাখেন। অন্তত এটা ছাড়াতে দিয়েন না। মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার করা আর যেন কোনোমতেই যেন সংক্রমিত না হয়, তার জন্য দূরত্ব বজায় রাখা। এটা করতে পারলেই কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।
সবাইকে কোভিড টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, টিকা নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। দেশের মানুষ যেন সুরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা সরকার করবে।
‘একজনও গৃহহীন থাকবে না’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ প্রকল্পের অনুকূলে আরও এক হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। আমরা আরও এক লাখ ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। তিনি বলেন, ২০২০ সালে মুজিববর্ষ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা সময় নিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ ঘর পাবে, ঠিকানা পাবে। বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে।
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলাকায় দেখবেন, কোনো লোক গৃহহীন আছে কি না? আপনারা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেবেন, আমরা ঘর করে দেব। একটি মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ।